ওয়েব ডেস্ক: আওয়ামী লীগ ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভোট বর্জন নাগরিক অধিকার। সরকার দেশের সম্পদ নষ্ট করে তামাশার নির্বাচনের নামে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। দেশ-বিদেশের প্রবল আপত্তি আমলে না নিয়ে এক তরফা নির্বাচনের নামে নাটক করছে। বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখে খালি মাঠে গোল দিচ্ছে। সরকার নির্বাচনের আগে ঠিক করছে কে বিরোধী দল হবে। এভাবে নির্বাচনের নামে জাতিকে ধোকা দিচ্ছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার তলে তলে সব আসনে এমপি সিলেক্ট করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এক তরফা নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কিছু কিংস পার্টি ও ডমেস্টিক দল নিয়ে কথিত নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে যাচ্ছে। এবার নির্বাচন হচ্ছে নৌকা-স্বতন্ত্র-ডামি নৌকা-বিদ্রোহী নৌকার চরিত্রে নাটকে অভিনয় করছে। এভাবে নির্বাচনের নামে তামাশার কোনো মানে হয় না।’
দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও খন্দকার গোলাম মাওলাসহ অনেকে।
এসময় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘কথিত নির্বাচনে ভোটার নেওয়ার জন্য নাগরিকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। যা সত্যিকারের অমানবিক। এখান থেকে সরকার দলীয় লোকজন বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
পীর সাহেব চরমোনাই একতরফা নির্বাচন ও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানান।
দলটি জানায় একতরফা পাতানো নির্বাচন বাতিল, অবৈধ সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তনের দাবিতে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে রাষ্ট্রপতির বরাবর স্মারকলিপি পেশ পূর্ব জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।